অর্থিকদিক ও সামরিক দিক থেকে মজবুত হওয়ার সাথে এবার মহাকাশ ক্ষেত্রেও শ্রেষ্ঠতা প্রদর্শন করছে ভারতের বিজ্ঞানীরা।

একদিকে যখন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব ভারত বিশ্বে সামরিক ও অর্থনৈতিক মহাশক্তি রূপে উঠতে শুরু করেছে তখন ভারতের ইসরোও বিশ্বের নিজের দাপট দেখাতে শুরু করেছে। এই বিষয়টি আমেরিকা এজেন্সি NASA স্বীকার করেছে। মোদীযুগে ভারত যেমন একের পর এক দেশকে পেছনে ফেলে ক্রমাগত এগোচ্ছে তেমনি ভারতে ISRO এর বিজ্ঞানীরাও মহাকাশে নিজেদের দক্ষতা পদর্শন করে বিশ্বকে অবাক করছে। এটা কোনো ছোট ব্যাপার নয়, এটা প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী NASA ও এখন ISRO এর সাহায্যে নিতে শুরু করেছে। আপনাদের জানিয়ে দি, নাসা আমেরিকার রিসার্চ সেন্টার হলেও সেখানের ৩৩% বিজ্ঞানী ভারতীয় শুধু এই নয় বর্তমানে আমেরিকার সবথেকে শিক্ষিত কমিউনিটি হলো ভারতীয় কমিউনিটি।
এর কারণ একটাই ভারতের সেই দেশ যাদের মুনি ঋষিরা প্রাচীনকাল থেকেই সনাতন ধর্ম ও বিজ্ঞানকে এক করে এগিয়ে নিয়ে গেছিলো এবং বড়ো বড়ো আবিষ্কার করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।
আসলে কিছু বছর আগে ভারত যে চন্দ্রযান ছেড়েছিল তা মহাকাশে ভারতের ছবি উজ্জ্বল করে তুলেছে। চন্দ্রযান চাঁদে বরফ আছে এই তথ্য আগেই জানিয়েছিল এখন NASA চন্দ্রযানের দেওয়া এই তথ্যকে সত্য বলে স্বীকার করেছে। বিজ্ঞানীদের মতে চাঁদের ডার্ক সাইট বা চাঁদের পোলার রিজিওনের দিকে বরফ থাকার তথ্য জানিয়েছিল চন্দ্রযান।
Eisamay এর তথ্য অনুযায়ী PTI থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী চন্দ্রমার সবথেকে ঠান্ডা ও অন্ধকার ধ্রুবীয় সাথে জলের বরফ জমা হয়ে রয়েছে। এখন উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে এই বরফের খোঁজ পাওয়ার পর পরবর্তী অভিযান ও চন্দ্রমায় থাকার জন্য জলের উপলদ্ধিতার সম্ভাবনা আরো একবার বেড়ে গিয়েছে। বরফের আকারে জল থাকার বিষয়টি বিজ্ঞানীরা নিশ্চত করেছে। জানিয়ে দি, বরফের খোঁজ দেওয়ার আগেও চন্দ্রযান চাঁদে জল থাকার সম্ভাবনাকে বিশ্বের সামনে উদঘাটিত করেছিল।
চন্দ্রযান থেকে পাওয়া তথ্যেগুলি পরবর্তী অভিযানে বিজ্ঞানীদের আরো সাহায্য করবে বলে মনে করছে।বিজ্ঞানীরা নাসার M3 থেকে পাওয়া পরিসংখ্যা হিসেব করে দেখিয়েছে যে চন্দ্রমাযে চাঁদের ভূমিতে জলহিম রয়েছে। আসলে চন্দ্রমাতে জনবসতি গড়ে তোলার জন্য যে চিন্তা ভাবনা চলছে তার দিকে লক্ষ্য রেখেই বিজ্ঞানীদের গবেষণা জারি রয়েছে। এখন চন্দ্রমা২ কে চাঁদে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি চলছে। এই বছর অক্টোবর মাসেই চন্দ্রমায় মহাকাশ যান পেরণ করা হতে পারে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুদিন আগেই ভাষণে বলেছিলেন, আমাদের দেশ মহাকাসক্ষেত্রে লাগাতার উন্নতি করেই চলেছে। আমরা ও আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বপ্ন দেখেছি যে ২০২২ এর স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারত মায়ের কোনো পুত্র বা কন্যা মহাকাশে যাবে হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে।  প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই এই স্বপ্ন পূরণের একটা ইচ্ছা আমাদের রয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

যদি আমি ভারতে থাকতাম, তাহলে নোবেল পুরস্কার পেতাম না! বললেন নোবেল বিজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জী

Pages 6

Pages 7